পড়া মনে থাকে না 'কিংবা' যা পড়ি তাই ভুলে যাই ', এই অভিযোগটি প্রায় সবার। পড়া মনে না থাকা নিয়ে কম-বেশি হতাশায় ভুগে নাই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল ব্যাপার। তবে বিষয়টি নিয়ে হতাশ হলে চলবে না। কয়েকটি সহজ কৌশল মেনে চললেই এ জাতীয় উৎকট ঝামেলা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সেরকমই সহজ কৌশল নিয়ে আমাদের এই অ্যাপ। চলুন, পড়া মনে রাখার উপায় গুলো অ্যাপটি ডাউনলোড করে জেনে নেওয়া যাক। সবার আগে আপনাকে পড়ার রুটিন করে নিতে হবে যেন পড়ালেখা আপনার মনোযোগ ঠিক থাকে। পড়াশুনার সাথে বুদ্ধিমত্তা র কোন সম্পর্ক নেই। তবে তার সাথে স্মৃতিশক্তির একটা সম্পর্ক রয়েছে। আপনার স্মৃতিশক্তি যত বেশি থাকবে তত বেশি মনে থাকবে। তাই আপনাকে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর প্রতি নজর দিতে হবে এটা পড়া মনে রাখার উপায় পূর্বশর্ত। মনো বিজ্ঞান তাই বলে। জ্ঞান ও বুদ্ধি বৃদ্ধির উপায় হিসাবে আপনি নানান বুদ্ধির খেলা ও বুদ্ধির প্রশ্ন নিয়ে চর্চা করতে পারেন। আমাদের মস্তিস্ক এক বিচিত্র তথা জটিল কারখানা। এবং এর কাজ করার ক্ষমতা অপরিসীম। একে কাজে লাগাতে হ'লে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। খুব সহজ; তবে নিয়মিত চর্চার প্রয়োজন রয়েছে।
মনে রাখার টিপস্ ----
1) নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। সহজ কথায়, "আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে"।
২) এখনই কাজ শুরু করুন, এখনই।
3) ঘুমের সময় নির্ধারণ করতে হবে। এবং তা করতে হবে আপনার "বায়োলজিক্যাল ক্লক" অনুযায়ী। নিয়মিত ও যথেস্ট।
4) সকাল হচ্ছে উত্তম সময় পড়ালেখা মনে রাখার। আরও অধিক উত্তম সময় হচ্ছে, সূর্যোদয়ের এক ঘন্টা পূর্বে।
5) প্রথমে শব্দ করে পড়তে হবে। এরপর ইচ্ছে হ'লে শব্দহীন ভাবে পড়তে পারেন।
6) প্রথমে সম্পূর্ণ বিষয়টি একবার / দু'বার মনযোগ সহকারে পড়ে তারপর দু'তিন লাইন করে মুখস্ত করুন।
7) একটানা অনেকক্ষণ পড়তে হ'লে মাঝখানে বিরতি দেয়া উত্তম। এক কিংবা দু'ঘন্টা পর পর অন্ততঃ পাঁচ মিনিট বিরতি দিতে হবে। এ সময় একটা গান শুনতে পারেন কিংবা সটান শুয়ে পড়তে পারেন।
আর যদি আপনি ধর্মে বিশ্বাসী হন তাহলে আপনার ধর্ম নিয়ে ভাবুন এবং মুসলমান হলে আল্লাহর "জিকির" করুন।
8) পছন্দের তালিকায় মিস্টি জাতীয় খাবার রাখুন। চিনির শরবত, সাথে লেবু। কিংবা শুধু লেবুর শরবত। গ্লুকোজ পানিও পান করতে পরেন। সাবধান! ডায়াবেটিক থাকলে অবশ্যই এসব পরিহার করুন। "স্যালাইন" কখনোই খাবেন না। খাবার তালিকায় সবুজ শাকসব্জি, ফলফলাদি রাখুন। স্বাভাবিক পুস্টিকর খাবার খেতে চেস্টা করুন। ধূমপান পরিহার করুন।
9) অল্প হলেও প্রতিদিন কিছু না কিছু পড়ুন।
10) কম হলেও প্রতিদিন অন্ততঃ 30 মিনিট হালকা শরীরচর্চা করুন।
11) প্রতিদিন অন্ততঃ 5/7 মিনিট মন খুলে হাসুন।
1২) অযথা কথা পরিহার করুন।
13) অতিরিক্ত রাত করে ঘুমোতে যাবেন না।
14) পড়াতে মন না বসলেও প্রথম প্রথম অনিচ্ছা সত্ত্বেও পড়তে বসুন।
কিভাবে স্মৃতিশক্তির যত্ন নিবেন? চলুন জেনে নিই তার বিস্তারিত
ইতিবাচক চিন্তা করুনঃ নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। সন্দেহবাতিক মন মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। মনের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগটা খুব গভীর। তাই মনের পরিচর্যা করুন। নিজেকে নিয়োজিত রাখুন সৃষ্টিশীল কাজে.ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করুনঃ ক্রোধ বা রাগ মন ও মস্তিষ্কের শত্রু। আমরা যখন রেগে যাই তখন শরীরে নিঃসৃত হয় বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়.মেডিটেশন করুনঃনিয়ম করে দিনের কিছু সময় মেডিটেশন করুন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। সম্ভব না হলে অন্তত সকাল-সন্ধ্যা খোলা ময়দানে হাঁটুন। এ অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। স্মরণশক্তি মূলত নির্ভর করে আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতার ওপর। মেডিটেশন আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়.পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিনঃসারাক্ষণ কাজ আমাদের মস্তিষ্ককে ক্লান্ত করে তোলে। ক্লান্তি মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন গড়ে ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুমান। দীর্ঘ কাজের ফাঁকে একটু ব্রেক দিন। কাজে মনোনিবেশ করা সহজ হবে।
আশা করি এই পড়া মনে রাখার উপায় গুলো আপনার কাজে দিবে তো আর দেরি না করে পড়ার রুটিন করে পড়াশুনায় মন দেন। ব্যাস, পেয়ে গেলেন তো ভালো ছাত্রদের গোপন রহস্য! এবারে পড়তে বসে এগুলাকে প্রয়োগ করে ফেলেন, সহজেই মনে রাখতে পারবেন সবকিছু।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.greenappstudio.banglaeducationaltips